ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুরে বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এক তরুণকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুরের শৈলকুড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার তরুণের বড় বোন সনি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নির্যাতনের শিকার তরুণের নাম মিলন (২৪)। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দাপাইদ্রাকপুর এলাকার রিপন গাজীর ছেলে।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- আলীগঞ্জ এলাকার হিমেল, শান্ত, দাপাইদ্রাকপুর এলাকার দিপু, রাব্বি ও ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার সুমন ওরফে চোর সুমন।

অভিযোগের বরাত দিয়ে সনি জানান, উক্ত বিবাদীগণ একদল সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। গত ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার সময় রাব্বি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার ছোট ভাই মিলন (২৪) কে জরুরী কথা বলবে বলে দাপা শৈলকুড়া বোরহান হাজীর খোলায় যাওয়ার জন্য বললে আমার ছোট ভাই রাব্বির কথায় সরল বিশ্বাসে ঐখানে যায়। আমার ভাই ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথেই সকল বিবাদীগণ আমার ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ আমার ভাই বিবাদীদের এক বন্ধুর মোবাইল নিয়ে গেছে বলে মোবাইল ফেরত দিতে বলে। আমার ভাই কারো কাছ থেকে কোন মোবাইল নেয় নাই এবং এই বিষয়ে সে কিছু জানেনা মর্মে অবহিত করিলে সকল বিবাদীগণ আমার ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমার ভাইকে এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। হিমেল তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও রক্ত জমাট জখম করে। সকল বিবাদীগণ আমার ভাইকে মাটিতে ফেলিয়ে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। রাব্বি ও সুমনের হাতে থাকা কাঠের ডাশা দ্বারা এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। হিমেল আমার ভাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার হাত দ্বারা আমার ভাইয়ের গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। বিবাদীগণের মারধরের ফলে আমার ভাই ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হইয়া পরলে বিবাদীগণ আমার ভাইকে অজ্ঞান অবস্থাতেই মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার ভাইয়ের জ্ঞান ফিরিয়া দেখে যে, বিবাদীগণ আমার ভাইকে রশি দ্বারা হাত-পা বেঁধে রেখেছে। অতঃপর লোক মারফত বিষয়টি জানার পর আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে সকল বিবাদীগণ আমাকে ও আমার ভাইকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে এবং আরও বলে যে, তোর ভাই যদি আমাদের দাবীকৃত মোবাইল ও টাকা না দেয় কিংবা তোরা এই বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিস তা হইলে তোর ভাইকে সহ তোদেরকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলাইবো নতুবা যেকোন মিথ্যা মামলায় ফাসাইয়া দিব মর্মে হুমকি প্রদান করে ছেড়ে দেয়। অতঃপর আমার ভাইয়ের অবস্থা গুরুতর দেখে তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করাই। বর্তমানে আমার ভাই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। যেকোন সময় আমার ভাইয়ের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে আমার আশঙ্কা হইতেছে।